Notice
বিজ্ঞপ্তি
Publish Date : August 7, 2024

সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন/ কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ ইরফান ভুঁইয়া শহীদ হয়েছেন। অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

মো: ইরফানের সাথে ঘটে যাওয়া এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর থেকেই তাঁর পরিবারের সাথে উপাচার্য মহোদয় প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। আজ তিনি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ ইরফানের বাসায় তাঁর পরিবারের সাথে সাক্ষাত করতে যান। সেখানে তাঁরা ইরফানের বাবা, মা ও ছোট দুই বোনের সাথে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। পরিবারের এই দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ ও ইরফানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য প্রতিনিধিদল ইরফানের বাবা-মা কে অনুরোধ করেন। ছোট দুই বোন আরও ভালোভাবে পড়াশুনা করে যাতে প্রকৃত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে, সে বিষয়টির দিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও ইরফানের বাবা-মাকে বলেন। আগের দেয়া প্রতিশ্রুতির অনুবৃত্তিক্রমে আর্থিকসহ সবরকম সহযোগিতার বিষয়ে উপাচার্য মহোদয় ইরফানের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান যে, ইউআইইউ পরিবার তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে ইরফানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউআইইউ পরিবারের সংগ্রহকৃত অর্থের সাথে সমপরিমান অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে যোগ করা হবে। এই দুই সূত্র থেকে প্রাপ্ত মোট সহায়তার সমপরিমান অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক ইউনাইটেড গ্রুপ প্রদান করবে। এই সম্মিলিত সহায়তা শহীদ ইরফানের পরিবারকে যথাশীঘ্র সম্ভব হস্তান্তর করা হবে। এই আর্থিক সহায়তা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইরফানের ছোট দুই বোনের উচ্চশিক্ষায়ও সার্বিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী কমিটিতে আলোচনার পর শহীদ ইরফানের আত্মত্যাগ স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটি স্হাপনা তাঁর নামে নামকরণ করা হবে ও একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর শহীদ ইরফানের রুহের মাগফেরাত কামনার জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

আন্দোলন চলাকালে আমাদের বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী ও এলামনি আহত হন। ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসে ও ইউনাইটেড হাসপাতালে তাদেরকে যথাসাধ্য চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হয়েছে। গতকাল ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় একজন এলামনি ছাত্রের জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আজ উপাচার্য মহোদয় ও কর্মকর্তাবৃন্দ হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজখবর নেন। এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগের ঘোষণার পুনরাবৃত্তি করছে যে, আমাদের ছাত্রছাত্রী ও এলামনিদের কারও চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় হেল্পলাইনে জানাতে পারে।  

প্রাপ্ত তথ্যমতে আমাদের ১৭ জন ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গ্রেফতার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগকৃত এডভোকেটবৃন্দ ও ছাত্রদের ব্যক্তিগত এডভোকেটবৃন্দের সহায়তায় সকল ছাত্রকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম যতদ্রুত সম্ভব শুরু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের ছাত্রছাত্রীদেরকে যথাসময়ে এ বিষয়ে জানানো হবে।

আপনারা সবাই সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।